মাদরাসা পরিচিতি
chairman image
প্রখ্যাত অলীকূল শিরোমণি, কুতবে আলম শাহ্‌ ছুফি হযরত আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল মজিদ (হযরত বড়হুজুর কেবলা রহঃ) এর একান্ত অনুজ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গারাংগিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও দরবারে আলীয়া গারাংগিয়া শরীফের অন্যতম রূপকার, আধ্যাত্মিক জগতের প্রাণপুরুষ, প্রখ্যাত পীরে কামেল, মোজাদ্দেদে যমান, কুত্‌বে মদার শাহ্‌ ছুফি হযরত আল্লামা মুহাম্মদ আবদুর রশিদ (হযরত ছোট হুজুর কেবলা রহঃ) "প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ" এই হাদীছের বাস্তবায়ন কল্পে, সমাজে পিছিয়ে পড়া নারী সমাজকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার অভিষ্ট লক্ষ্যে নিজ বাড়ির সামনে নিজস্ব জায়গায় ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে এ মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। অনেক চিন্তা ভাবনা করে উপমহাদেশের অন্যতম আধ্যাতিক সাধক, ইমামুত ত্বরিক্বক, ইমামে রব্বানী, মোজাদ্দেদে আলফে সানী, শেখ আহমদ ফারুকী চরহিন্দি (রহঃ) এর নামানুসারে প্রথমে অত্র মাদরাসার নামকরণ করা হয়-" গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী বালিকা মাদ্‌রাসা"। কিন্তূ কালের পরিক্রমায় ভবিষ্যতে উচচতর শ্রেণি খোলার সুদূর চিন্তা-ভাবনা থেকে শাহ্‌জাদা আলহাজ্জ্ব এ.টি.এম. মমতাজুল ইসলাম ছিদ্দিকী ছাহেবের পরামর্শে ও সর্ব সম্মতিক্রমে মাদরাসার নাম আংশিক পরিবর্তন করে 'বালিকা' এর স্থলে 'মহিলা' স্থাপন করতঃ " গারাংগিয়া ইসলামিয়া রব্বানী মহিলা মাদরাসা" চুড়ান্ত নামকরণ করা হয়। তদানুযায়ী সরকারীভাবে তা নিবন্ধিত ও প্রচারিত। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ হতে দাখিল পাঠদান অনুমতি, ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ হতে দাখিল একাডেমিক স্বীকৃতি ও ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দ হতে দাখিল স্তর এম.পি.ও. ভুক্ত হয়। ২০০২ ক্রিস্টাব্দে আলিম স্তর পাঠদান অনুমতি, ২০০৪ ক্রিস্টাব্দে আলিম স্তর একাডেমিক স্বীকৃতি ও ২০১০ ক্রিস্টাব্দে আলিম স্তর এম.পি.ও. ভুক্ত হয়। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ হতে ফাজিল স্তরে পাঠদান শুরূ হয় এবং ২০১৬ খ্রি. ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃক পাঠদান অনুমোদন লাভ করে।
সুবর্ণজয়ন্তী কর্ণার
principal imge
বর্তমানে সভাপতির পদ খালি আছে।
অধ্যক্ষের বাণী
Principal image

 মহান রাব্বুল আ’লামীনের দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যিনি অত্র মাদরাসাকে দিন দিন উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। দরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা মোবারকে। যিনি পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জন্য আলাদা তথা পৃথক শিক্ষাব্যস্থার মাধ্যমে এলমে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে নারী শিক্ষার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাথে সাথে মহান আল্লাহর দরবারে হযরত বড় হুজুর বেবলা (রহ.) ও অত্র মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা হযরত ছোট হুজুর কেবলা (র.)এর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। বর্তমান সময়ে শিক্ষা সংস্কৃতির অঙ্গন যখন অপসংস্কৃতির দখলে, সহ শিক্ষার নামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশাসহ বেহায়া ও বেলেল্লাপনার কারণে সাহিত্যে ও শিক্ষায় নারীদের সুষ্ঠু অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক এমনি সময়ে অত্র মহিলা মাদরাসাটি ঐ সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পলন করছে।


বিস্তারিত
অনলাইনে সংযুক্ত
browsingimg